১) সকল ছাত্রকে সুন্নাত-অল-জামায়াতের আকিদা পন্থী হতে হবে।
    
২) আল্লাহ ও রাসুল (ছাঃ) সম্পর্কে ফরুয়াতী মসলা-মাসায়েলে দাদা হুজুরের মতাদর্শ এবং আল্লামা হুজুরের লেখনী তথা চিন্তাধারার উপর দৃঢ় থাকতে হবে। কেননা, কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী এটি নিখুঁত এবং খাঁটি চিন্তাধারা।
    
        ৩) হানাফি মাযহাব অবলম্বন করতে হবে। 
        
        লেবাসঃ
    
    ১) কলার ও কাফহাতা বিহীন নেছফে-সাক (হাঁটুর নিচে) গোল জামা ও মাথায় সাদা গোল টুপি সর্বদা ব্যবহার করতে হবে। কাট, উঁচু এবং নকশাদার কোন টুপি ব্যবহার করা চলবে না।
    ২) পায়জামা বা লুঙ্গি কখনও গাঁটের নিচে পরিধান করা যাবে না। চুড়িদার পায়জামা ব্যবহার নিষিদ্ধ।
    
        ৩) কোন রঙিন, ছাপা বা উগ্র কালারের জামা ও গেঞ্জি পরা চলবে না। 
        
        তারবিয়াতঃ
    
    ১) সর্বদা সামনের ও পিছনের চুল সমানভাবে কাটতে হবে।
    ২) ওজুর সময় সর্বদা মিসওয়াক করা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতসহ আদায় করা বাধ্যতামূলক। 
    ৩) ফজরের জামায়াতের পরে সূরা ইয়াছিন পাঠ, সওয়াব রেছানীতে শরীক, ও আসরের নামাজের পর ১০ মিনিট তালিমে অংশগ্রহণ, মাগরিবের পর ১০ মিনিট জিকির ও এশার নামাজের পর সূরা মুলক তেলাওয়াত এবং ফজরের পরে কোরআন তেলাওয়াত করা হবে।
    ৪) কখনও খালি মাথায় রাস্তা-ঘাটে চলাফেরা করা যাবে না।
    ৫) কর্তব্যরত মুহাদ্দিসের অনুমতি ছাড়া কখনও কোন ছাত্র জামিয়ার বাইরে যেতে পারবে না। > 
    
    
        জামিয়ার সাধারণ সতর্কতা ও নিয়মাবলী
        ১. ভর্তি ফি ও মাসিক ফি: প্রত্যেক নতুন ছাত্রকে ভর্তি ফি হিসেবে ১৪৩০ টাকা এবং তিন মাসের মাসিক ৭০০ টাকা হারে মোট ৩৪৩০ টাকা ভর্তির সময় পরিশোধ করতে হবে। ভর্তি পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে পুরো বছরের ফি পরিশোধ বাধ্যতামূলক। 
        ২. ছুটি ও পালানো: কোনো ছাত্র যদি জামিয়া থেকে অনুমতি ছাড়া পালিয়ে যায়, তবে জামিয়া কর্তৃপক্ষ তার জন্য কোনোভাবেই দায়বদ্ধ থাকবে না। 
        ৩. আসবাবপত্র: পলাতক ছাত্রের রেখে যাওয়া আসবাবপত্রের সংরক্ষণের দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের নয়। ভর্তি ফি বা জমাকৃত অর্থও ফেরত দেওয়া হবে না। 
        ৪. সিনিয়রে ভর্তি: কোনো ছাত্র জামিয়ার তত্ত্বাবধানে অন্য কোনো মাদ্রাসায় (সিনিয়র ক্লাসে) ভর্তি হয়ে চলে গেলে, তার জন্য জামিয়া কর্তৃপক্ষ কোনো দায়ভার নেবে না। সিনিয়রে ভর্তি হতে হলে আগের মাদ্রাসা থেকে টিসি আনতে হবে, তা না হলে ভর্তি
        গ্রহণযোগ্য হবে না। 
        ৫. ফোন ব্যবহার: অফিসের অনুমতি ছাড়া কোনো ছাত্র মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। অনুমতি ছাড়াই ফোন ব্যবহার করলে অথবা অপব্যবহারে ধরা পড়লে সেই ফোন আর ফেরত দেওয়া হবে না এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। 
        ৬. ছুটি গ্রহণ: এক মাস পূর্ণ হওয়ার আগে কেউ ছুটির আবেদন করতে পারবে না। জরুরি প্রয়োজনে অভিভাবকের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। 
        ৭. কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত: কোনো বিষয় নিয়ে কর্তৃপক্ষ যেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বা শাস্তি নির্ধারণ করবেন, তার বিরুদ্ধে অভিভাবক বা অন্য কারও কোনো অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না। 
        ৮. শৃঙ্খলাবিধি: নিজেদের মধ্যে কোনো বিষয়ে ডিরেক্টর বা তার নিযুক্ত মুহাদ্দিস সাহেবের সিদ্ধান্ত বিনা সমালোচনায় মান্য করতে হবে। 
        ৯. নেশাজাতীয় দ্রব্য: নেশাজাতীয় দ্রব্য ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেলে ছাত্রকে জামিয়া থেকে বহিষ্কার করা হবে। 
        ১০. আমানত রক্ষা: জামিয়ার প্রতিটি সামগ্রী আমানত হিসেবে ব্যবহৃত হবে। 
        ১১. লাইব্রেরির বই: লাইব্রেরির বই ব্যবহারে কোনো ক্ষতি বা বই হারানোর ক্ষেত্রে ছাত্রকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকতে হবে। 
        ১২. বাহিরের সম্পর্ক: ছাত্র জামিয়ার বাইরে কোনো ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখতে পারবে না। 
        ১৩. ক্ষতির দায়ভার: ছাত্রদের গাফিলতির কারণে বা যে কোনো দুর্ঘটনায় নষ্ট হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া জিনিসপত্রের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। 
        ১৪. ইমামতি ও দাওয়াত: সম্পাদকের বা পরিচালকের অনুমতি ছাড়া ছাত্ররা মাদ্রাসায় অবস্থানকালে কোনো দাওয়াত নিতে বা কোথাও ইমামতি করতে পারবে না। ক্লাস কামাই করা বা পড়াশোনার ক্ষতি করা নিষিদ্ধ। 
        ১৫. সিনিয়র মাদ্রাসায় ভর্তি: ডিরেক্টর সাহেবের অনুমতি ছাড়া কোনো ছাত্র সিনিয়র মাদ্রাসায় ভর্তি হতে পারবে না। 
        ১৬. ছুটির পর অনুপস্থিতি: সাপ্তাহিক বা বিশেষ ছুটির পর কোনো প্রকার অনুপস্থিতি সহ্য করা হবে না। নিতান্ত জরুরি কারণে অনুপস্থিত থাকলে অভিভাবককে উপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে। গার্জেনের ফোন ছাড়া ছাত্রকে গ্রহণ করা হবে না। ফোন সন্দেহজনক হলে
        গার্জেনকে সরাসরি উপস্থিত হতে হবে। 
        ১৭. ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের ছুটি: গ্রাম্য সভা, খানাসাদি, কলমাখানি, মুসলমানী, বাড়ির কোনো খানাপিনার অনুষ্ঠানে ছুটি চাওয়া যাবে না। নিজের বাড়ি ছাড়া অন্যের বিয়েতে ছুটির আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। 
        ১৮. অসুস্থতা: অসুস্থতার কারণে ছুটি প্রয়োজন হলে অফিসকে আগে জানাতে হবে। কোনো ছাত্র অফিসকে না জানিয়ে হঠাৎ ছুটি চাইলে তা মঞ্জুর করা হবে না। 
        ১৯. চিকিৎসার ব্যবস্থা: যে কোনো রোগের জন্য বড় হুজুরের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। তিনি প্রয়োজন মনে করলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন বা ছুটি দেবেন। 
        ২০. পরীক্ষায় ফলাফল: অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ৪৫%-এর কম নম্বর পেলে এবং বার্ষিক পরীক্ষায় দুটি বিষয়ে ফেল করলে, কোরবানির ঈদের মধ্যে উক্ত বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে নতুন মার্কশিট সংগ্রহ করতে হবে। 
        ২১. বোডিং খরচ: যে কোনো পরীক্ষায় ৪৫%-এর কম নম্বর পেলে, পরবর্তী মাস থেকে পূর্ণ বোডিং খরচ বহন করতে হবে। 
        ২২. অনুমতি ছাড়া ছুটি: অফিস থেকে অনুমতি না নিয়ে মাদ্রাসা ছেড়ে গেলে, ছাত্রকে জামিয়া থেকে বহিষ্কার করা হবে। 
        ২৩. মোটরবাইক: বড় হুজুরের অনুমতি ছাড়া কোনো ছাত্র মোটরবাইক আনতে পারবে না। 
        ২৪. ইমারজেন্সি ছুটি: জরুরি প্রয়োজনে ছুটির জন্য অভিভাবককে নির্ধারিত ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে: ৯১৪৩১৩৮৫৯৫ / ৯৭৩৪১০২৫০৮ / ৭৯০৮৬০৬২৮৬ 
        ২৫. অতিরিক্ত নিয়মাবলী: উপরোক্ত নিয়মকানুন ছাড়াও কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে নতুন নিয়ম প্রণয়ন করলে ছাত্রদের তা মানতে বাধ্য থাকতে হবে। 
        ২৬. ভর্তির শর্ত: ভর্তি ফর্মে উল্লিখিত নিয়মাবলীর ওপর স্বাক্ষর করে তা মান্য করতে হবে। পরবর্তীতে বিপরীত আচরণ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ছাত্রকে জামিয়া থেকে বহিষ্কার করা হবে। 
        
        উপরোক্ত নিয়মাবলী মেনে নেওয়া হলো।
        ছাত্রের স্বাক্ষর:
        অভিভাবকের স্বাক্ষর: